ঈসায়ীদের ধর্মকর্ম কেমন? (নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত, কোরবানি, দানখয়রাত, জানাজা, ইত্যাদি)।

সংক্ষিপ্ত উত্তর:

ধর্মকর্ম পালনের ব্যাপারে ঈসায়ীদের কঠিন আদেশ দেওয়া আছে; অন্যথায় তাদের ঈমান মিথ্যা বা মৃত (ইয়াকুব ২:১৬, ১৭) ।

ব্যাখ্যামূলক উত্তর:

মানুষ বাস্তববাদী, সামাজিক ও রুহানি জীব। সমাজে বাস করতে হলে, যেমন সমাজের নিয়ম মানতে হয়, তেমনি আল্লাহর রাজ্যের প্রজা অর্থাৎ ঈসায়ী হলেও তাদের আল্লাহর কালাম অনুসারে জীবন যাপন করতে হয়। এখন প্রশ্ন হলো, এই কাজগুলো নাজাতের জন্য করা, না কি সামাজিকতা কিংবা রুহানিকতার জন্য করা? ঈসায়ীরা নাজাতের জন্য এসব ধর্মকর্ম করে না। কারণ এগুলোর মধ্যদিয়ে প্রকৃতপক্ষে নাজাত পাওয়া যায় না। এর কারণ হলো কেউ এসব ধর্মকর্ম পালন করতে পারে না। আল্লাহর কালাম বলে, ধার্মিক কেউ নেই, একজনও নেই (রোমীয় ৩:২৩)। ধর্মকর্ম করে কেউ ধার্মিক হতে পারলে, এই আয়াত নাজেল হতো না।

নাজাত লাভের জন্য ঈসায়ীরা হজরত ঈসার উপর ঈমান আনে। কারণ তাদের সাফায়াতকারী হবার জন্যই ঈসা মসীহ কোরবানি হয়ে, কাফফারা দিয়েছেন। হজরত ঈসার উপর যারা ঈমান আনে, তারা আল্লাহর রাজ্যের প্রজা হয়। আর প্রজা হিসাবে তাদের উচিত যুক্তিসংগত সামাজিক, রুহানি ও নাগরিক হিসাবে ধর্মকর্ম ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করা। তবে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ও জানাজার বিষয়ে কথা আছে। জানাজা সাধারণত মৃত ব্যক্তির জন্য করা হয়। ঈসায়ীরা মৃত ব্যক্তির জন্য জানাজা পড়ে না। কারণ তাতে কোন লাভ নেই। মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তি ইহজীবনে যা করেছে তার কিছুই জানাজার মধ্যদিয়ে বদলানো যায় না। তবে সেই জানাজা বা মুনাজাত যদি মৃত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনদের জন্য হয়, তবে ঈসায়ীরা তা করতে প্রস্তুত। আল্লাহর কালামে লেখা আছে, “যাতে আল্লাহর উপরে যারা ঈমান এনেছে তারা অন্যদের উপকার করবার কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখবার দিকে মন দেয়। মানুষের পক্ষে এই সব ভাল এবং উপকারী (তীত ৩:৮)।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।