ঈসায়ী বিশ্বাসের সঙ্গে হিন্দুধর্মের পার্থক্য কী?

পাককিতাব তথা কিতাবুল মোকাদ্দস বহুত্ববাদ বা পৌত্তলিকতাবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। হজরত মুসার শরিয়তের মূল কথাই হলো, আল্লাহর স্থানে যেন কোন দেব-দেবী বা প্রতিমূর্তি রাখা না হয়। এই জন্য যেমন শিক্ষা দেওয়া হতো তেমনি অবাধ্যদের সরাসরি শাস্তিও দেওয়া হতো। এই মূর্তিপূজার কারণেই বনি-ইসরাইজাতির লোকদের আল্লাহ অন্যান্য জাতির মধ্য থেকে আলাদা করে নিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝে মাঝে এই জাতির লোকেরা বিজাতীয়দের মতো মূর্তিপূজায় লিপ্ত হতো এবং কঠিন শাস্তিও পেতো। আমাদের দেশের হিন্দু এবং আদিবাসী লোকদের মধ্যে প্রতিমাপূজার প্রচলন দেখা যায়। নিচে ঈসায়ী ও হিন্দু ধর্মের পার্থক্য দেখানো হলো:

ক্রমিক বিষয় ঈসায়ী হিন্দু
সৃষ্টিকর্তা এক আল্লাহ বিশ্বাস করে বহুত্ববাদে বিশ্বাসী
নেতা হজরত ঈসা শ্রী কৃষ্ণসহ বহু দেবতা
ধর্মের নাম ঈসায়ী / খ্রিস্টধর্ম সনাতন/ হিন্দু
ধর্মীয় কিতাব পুরো কিতাবুল মোকাদ্দস (ইঞ্জিল শরিফ) শ্রীমৎ ভগবত গীতা
পোশাক বাধা-ধরা নিয়ম নেই বিশেষ কাপড় আছে
খাবার খাবারটা বড় বিষয় নয় খাবারে বিধি নিষেধ আছে
এবাদতখানা স্থান-কাল-পাত্রভেদে যেকোন নাম মন্দির
এবাদতের দিক কোন নির্দিষ্ট দিকে মুখ করতে হয় না মূর্তির দিকে মুখ করতে হয়
উপায় গান, কিতাব পাঠ/ব্যাখ্যা ও মুনাজাত মন্ত্রপাঠ, ধূপ জ্বালানো, সিঙাধ্বনি, উলুধ্বনি, কীর্তন
ধর্মকর্ম কিতাব অনুসারে জীবন যাপন নানা বাহ্যিক নিয়মকানুন পালন করা
নবিদের বিষয়ে নবিদের বিশ্বাস করে যত মত তত পথ
স্থানীয় নেতা ইমাম / পালক / পরিচালক ব্রাহ্মণ / ঠাকুর / পুরোহিত
উৎস: শত প্রশ্নের হাজার উত্তর, আবু তাহের চৌধুরী, ২০১০

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।